December 24, 2024, 4:02 pm

‘পুলিশ সংঘর্ষে জড়ানো পক্ষগুলোকে নিবৃত করার চেষ্টা করে’।

অনলাইন ডেক্স
  • Update Time : Wednesday, April 20, 2022,
  • 30 Time View

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেছেন, যে কোনো পরিস্থিতিতে পুলিশ প্রথমত সংঘর্ষে জড়ানো পক্ষগুলোকে নিবৃত করার চেষ্টা করে। এ জন্য নেগোসিয়েশন করার চেষ্টা করা হয়। দুই পক্ষকে নিয়ে আলোচনার চেষ্টা করা হয়। একটি মানুষ নিহত তো দূরে থাক, কেউ যেন আহতও না হয় সে চেষ্টাই করে পুলিশ।

কিন্তু গতকাল অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে একজন নিহত হয়েছেন। অনেকে আহত হয়েছেন। পুলিশ কিন্তু শুরু থেকে নিরপেক্ষ ভূমিকাই পালন করেছে।

 

ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে বুধবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

সংঘর্ষ চলাকালে রমনার এডিসির ভূমিকা, গোলা-বারুদ শেষ হওয়ায় অন্য পুলিশ সদস্যকে থাপ্পড় মারাসহ সার্বিক পরিস্থিতিতে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোন পরিস্থিতিতে এডিসির থাপ্পড় মারা ও গুলি শেষ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে তা এখনই বলা সম্ভব নয়। আপাতত পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাতেই মনোযোগী।

ডিএমপির এ অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, সামনে ঈদ, কালকের পর থেকে কলেজগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। ছাত্র-ব্যবসায়ীদের মধ্যকার তুচ্ছ ঘটনা থেকে সূত্রপাত হওয়া এ সংঘাতের সমাপ্তি জরুরি। ব্যবসায়ীদের সন্তানরাও বিভিন্ন স্কুল কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছেন। ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবেন। ঈদকে কেন্দ্র করেই তাদের ব্যবসা, সারা বছর তারা বসে থাকেন। তাদেরও পরিবার আছে। তবে তাদেরও উচিত জনগণের সঙ্গে খারাপ আচরণ না করা। আমি ছাত্রদের আহ্বান করব, সংঘাতে না যাই, ব্যবসায়ীদের ব্যবসায় কোনো বাধা সৃষ্টি যেন না হয়। সবাই সবার মতো নিজের কাজ করি। সংঘাতে না জড়াই, সংযম রক্ষা করি।

তিনি বলেন, ঢাকা কলেজ ঐতিহ্যের শিক্ষপ্রতিষ্ঠান। এ প্রতিষ্ঠান থেকে যারা বের হয়েছেন তাদের অনেকে ভালো অবস্থানে আছেন। করোনার কারণে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সামনে ঈদ। ব্যবসায়ীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সময় এটি। এরমধ্যে নিউ মার্কেটের শ্রমিক-ব্যবসায়ী ও ছাত্রদের মধ্যে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জেরে সংঘাত হয়, মারামারি হয়।

তিনি আরও বলেন, উভয়পক্ষকে নিয়ে পুলিশ শুরু থেকেই সমঝোতার চেষ্টা চালিয়েছে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে পুলিশের সমঝোতা ছাড়া উপায়ও থাকে না। দ্বিতীয়ত, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে উভয়পক্ষকে সরে যেতে বলেছি। তৃতীয়ত, নন লেথাল উইপন (অস্ত্র) ব্যবহার করা হয়েছে। পুলিশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category
© All rights reserved © 2024
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: রায়তা-হোস্ট
tmnews71